ওঁম উচ্চারণের মাধ্যমে, জীবনের সব ক্লান্তি দূর করবেন কিভাবে? (Benefits of Om meditation)


ওঁম – শব্দটির উচ্চারণ করলেই, শরীরে ভিতর একটি কম্পন অনুভূত হয়। মন্ত্র দুটির বর্ণের শব্দ। কিন্তু একটা পাওয়ার একটা আশ্চর্য্য শক্তির অধিকারী এই শব্দটি। ভারতের হিন্দুদের মধ্যে এই শব্দটির মাহাত্ম্য, পুরান, শাস্ত্র থেকে শুরু করে, নরমাল জীবনেও বিদ্যমান। কিন্তু জানেন এই শব্দটি নিয়ে চর্চা ব বলা চলে গবেষণা অভারতীয়রাও বিদেশে করে চলেছে।

কোন মন খারাপের মুহূর্তে, বা কঠিন সময়ে, বা এমনি কানে হেডফোন দিয়ে অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে একমনে যদি ওঁম ধ্বনি শোনা যায়, কখন যে কিভাবে সময় কেটে যায়, বোঝা যায় না। আর যদি কেউ প্রত্যহ ওঁম ধ্বনির সাথে ধ্যান করেন তো শরীরে ও মনে এক ধরনের পজিটিভ এনার্জি বা শক্তি তৈরি হয়, যা আমাদের সারাদিনের ধকল সহ্য করার ক্ষমতা প্রদান করে, একই সঙ্গে শরীরকেও চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

১।থাইরয়েড কমায়-

নিয়মিত যদি আপনি ওঁম ধ্বনি উচ্চারণ করেন, আপনার গলায় যে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে তাতে কম্পন সৃষ্টি হয়, ফলে আপনার থাইরয়েড নিয়ন্ত্রিত থাকে।

২। স্ট্রেস কমায়-

সারাদিনের যা আমাদের কাজের চাপ থাকে, তা কোনো যুদ্ধ জয়ের থেকে কম নয়। সারাদিন মাথা খাটানোর পর, বাড়ি ফিরে, আপনার প্রয়োজন হয়ে পরে, মাথার রিলাক্সের। এই মুহূর্তে, নিজের ঘরে, মিনিট দশেক একমনে কানে ইয়ারফোনে ওঁম সাউন্ড চালিয়ে, চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন, নিমেষে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সাথেই আপনার মনকে, তরতাজা করে তুলবে।

৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-

সারাদিনে মাত্র ১০ মিনিট ওঁম ধ্বনি উচ্চারণের মাধ্যমে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিকভাবে হয় এবং প্রতিটি স্নায়ুতে সমানভাবে রক্তের প্রবাহ বজায় থাকে।

৪। মনকে শান্ত করে-

ধরুন, কাজের জায়গায় কোনো কঠিন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, বা আপনি পারিবারীক কলহের শিকার। আবার যদি আপনার প্রিয় মানুষের সাথে আপনার ঝামেলা চলছে, যা সমাধান হওয়ার কোনো রাস্তাই দেখতে পাচ্ছেন না, এক কথায়, আপনি এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন, যেখানে আপনি কি করবেন কি করবেন না বুঝতে পার্সন না, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অনুভব করছেন, সেই মুহূর্তে অদ্ভুতভাবে মানসিক শান্তি যোগায় এই ওঁম ধ্বনি। ওষুধের মতো কাজ করে।

আজ থেকেই নিজেই ওম ধ্বনি উচ্চারণ শুরু করুন আর নিজেই প্রত্যক্ষ দেখুন ম্যাজিক। জোর গলায় বলতে পারি সাফল্য পাওয়ার সব রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই মন্ত্রে।